ফেল কাকে বলে? ফেল কত প্রকার ও কি কি?

শুরুকথা

প্রিয় পাঠক আশা করি ভাল আছেন। বিবিধ ব্লগ এর সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি যদি, فعل বা ফেল কাকে বলে, ফেল কত প্রকার ও কি কি, ফেলে লাযিম, ফেলে মুতায়াদ্দি ও ফেলের আলামত সমূহ উদাহরণ সহ বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেল পেতে চান সেটা জানাতে ভুলবেন না।

পৃথিবীতে প্রায় ৭,১১১ টি ভাষা রয়েছে।  তন্মধ্যে আরবি একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় ভাষা। ইংলিশ ভাষায় কাজ করা বা হওয়া বুঝাতে যেমন Verb রয়েছে ঠিক তেমনি আরবি ব্যাকরণে ফেল রয়েছে। ফেল আরবি ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই লেখা থেকে আমরা ফেল কাকে বলে? ফেল কত প্রকার ও কি কি এ সম্পর্কে জানতে পারবো। আশাকরি উপকৃত হবেন। মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

فعل বা ফেল এর পরিচয়

ফেল শব্দের অর্থঃ

فعل শব্দটি একবচন, বহুবচনে আফআল। فعل বা ফেল শব্দের অর্থঃ ক্রিয়া

  • ক্রিয়া,
  • কাজ,
  • কর্ম, 
  • Verb

ফেল কাকে বলে?

যে শব্দ নিজের অর্থ নিজে প্রকাশ করতে পারে এবং তিন কালের কোন এক কালের সাথে সম্পর্ক রাখে তাকে ফেল বলা হয়। যেমনঃ أكل – সে খেয়েছিল।

যে কালিমা বা পদ নিজের অর্থ নিজে প্রকাশ করতে পারে এবং তিন কালের কোন এক কালের সাথে সম্পর্ক রাখে তাকে ফেল বলা হয়।

ফেল কত প্রকার?

ফেল গঠনগত দিক থেকে ৪ প্রকার। যথা-

ফেল কর্তা বা মাফউল এর উপর নির্ভর করা না করার ভিত্তিতে ২ ভাগে বিভক্ত

১। ফেলে মুতায়া’দ্দি (فعل متعدي)

২। ফেলে লাযিম ( فعل لزم )

ফেলে মুতায়াদ্দি

ফেলে মুতায়াদ্দি অর্থ হল – সকর্মক ক্রিয়া।

অর্থাৎ, যে ফেল বা ক্রিয়া এর পূর্ণ অর্থ প্রকাশের জন্য মাফউল বা কর্মের প্রয়োজন হয় তাকে ফেলে মুতায়াদ্দি বলে। যেমনঃ সে সাহায্য করল ( نصر )। এখন প্রশ্ন থেকে যায় – সে কাকে সাহায্য করল? এটা হল ফেলে মুতায়াদ্দি।

ফেলে লাযিম

ফেলে লাযিম শব্দের অর্থ হল – অকর্মক ক্রিয়া।

অর্থাৎ, যে ফেল বা ক্রিয়া এর পূর্ণ অর্থ প্রকাশের জন্য মাফউল বা কর্মের প্রয়োজন হয় না তাকে ফেলে লাযিম বলে। যেমনঃ সে দাঁড়াল ( قام ) এখানে نصر এর মত কোন প্রশ্ন করা যায় না। এটি হল ফেলে লাযিম।

ফেল এর আলামতঃ

বিভিন্ন নাহু সরফ বইয়ে এর অনেক আলামত দেওয়া থাকে। তবে আমি একটু সহজ করে বুঝানোর চেষ্টা করছি।

ফেল এর প্রধান আলামত হলঃ 

১। শব্দটি মাজি (ماضي), মুজারে (مضارع ), আমর (أمر ), নাহি (نهي ) হওয়া।

বইয়ে এই গুলা লেখা থাকেঃ

১। শব্দের শুরুতে কদ(قد) যুক্ত থাকা। উদাহরণঃ  قد فعل 

২। শব্দের শুরুতে সিন(س) যুক্ত থাকা। উদাহরণঃ سينصر

৩। শব্দের শুরুতে সাওফা(سوف) যুক্ত থাকা। উদাহরণঃ سوف ينصر

৪। শব্দের শুরুতে হরফে জঝম যুক্ত থাকা। উদাহরণঃ لم ينصر

৫। শব্দের শেষে সাকিন বিশিষ্ট তা(ت) থাকা। উদাহরণঃ ضربت

৬। শব্দটি মাজি(ماضي) হওয়া। উদাহরণঃ فعل

৭। শব্দটি মুজারে(مضارع ) হওয়া। উদাহরণঃ يفعل

৮। শব্দটি আমর(أمر ) হওয়া। উদাহরণঃ إفعل

৯। শব্দটি নাহি(نهي ) হওয়া। উদাহরণঃ لا تفعل

১০। শব্দের শেষে নুনে তাকিদ  যুক্ত থাকা। উদাহরণঃ ليفعلن

এখন আপনি উদাহরণের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন কদ সিন যা ই যুক্ত হক ওইটা মাজি বা মুজারে হচ্ছে তাই সেটি ফেল।

যবনিকাঃ

আমরা আরবি ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ টপিক ফেল কাকে বলে? ফেল কত প্রকার ও কি কি এ সম্পর্কে জানলাম। আল্লাহ আমাদের জ্ঞানকে বাড়িয়ে দিন। কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট সেকশন এ প্রশ্ন করুন। আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো।

বিবিধ ব্লগ চেষ্টা করছে শিক্ষা, প্রযুক্তি, কৃষি সহ জীবনের বিভিন্ন সমস্যার একটি সুন্দর, সহজ এবং নির্ভরযোগ্য সমাধান বাংলা ভাষায় প্রদানের জন্য। আপনার কোন পরামর্শ বা সমালোচনা থাকলে নির্দ্বিধায় করতে পারেন। বিবিধ ব্লগ এর উন্নয়নের জন্য আপনার উৎসাহ ও পরামর্শ একান্ত প্রয়োজন। তাই দেরি না করে এখনি কমেন্ট করুন একদম বিনামূল্যে।

আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। উপকৃত হলে অবশ্যই পাশের শেয়ার আইকন এ ক্লিক দিয়ে শেয়ার করবেন। বিবিধ ব্লগ এর সাথেই থাকুন। আপনার দীর্ঘায়ু ও চিরস্থায়ী সফলতা কামনা করে আজকের মত এখানেই রাখছি।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও আরবি ব্যাকরণ বই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *