প্রিয় পাঠক, বিবিধ ব্লগ এ স্বাগতম। ইসমের গুরুত্বপূর্ণ প্রকার ইসমে মুশতাক। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো ইসমে মুশতাক কাকে বলে? ইসমে মুশতাক কত প্রকার ও কি কি? লেখাটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো। আশাকরি, উপকৃত হবেন। চলুন দেরি না করে জেনে নেই।
ইসমে মুশতাক কাকে বলে?
ইসমে মুশতাক ( إسم مشتق ) আরবি শব্দ। এই শব্দটি যৌগিক। এই শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে আমরা দুইটি শব্দ পাই। একটি ইসম ( إسم ) অন্যটি হল মুশতাক ( مشتق )।
ইসম শব্দের অর্থ – নাম বা বিশেষ্য।
আর মুশতাক শব্দটি একবচন, বহুবচনে মুশতাক্ক-ত। শব্দের অর্থ – উদ্ভাবিত, উতপন্ন, গঠিত ইত্যাদি।
ইসমে মুশতাক ( إسم مشتق ) অর্থ – উদ্ভাবিত বিশেষ্য।
ব্যাকরণের পরিভাষায় – যে ইসম ইসমে মাসদার হতে গঠিত হয় তাকে ইসমে মুশতাক বলে।
চলুন উদাহরণের সাহায্যে স্পষ্ট হয়ে নেই। আন নাসরু (النصر ) মাসদার থেকে গঠিত হয়েছে নাসিরুন (ناصر ) বা মানসুরুন ( منصور ) ইসম দুটি। আর এই ইসম দুটি হল ইসমে মুশতাক।
ইসমে মুশতাক কত প্রকার ও কি কি?
ইসমে মুশতাক ৭ প্রকার। যথা –
- ইসমে ফায়েল ( اسم الفاعل ) – কর্তৃবাচক বিশেষ্য
- ইসমে মাফউল ( اسم المفعول ) – কর্মবাচক বিশেষ্য
- ইসমে জরফ ( اسم الظرف ) – স্থান বা কাল বাচক বিশেষ্য
- ইসমে আলা ( اسم الالة ) – যন্ত্র বাচক বিশেষ্য
- ইসমে তাফদিল ( اسم التفضيل ) – আধিক্য বা তুলনা বাচক বিশেষ্য
- ইসমে ফায়েল মুবালাগাহ ( آسم الفاعل للمبالغة ) – আধিক্য বোধক বিশেষ্য
- সিফাতে মুশাব্বাহা ( الصفة المشبهة ) – স্থায়ি গুণ বাচক বিশেষ্য
শেষ কথা
মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমারা আজকে ইসমে মুশতাক কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? জানলাম। ইসম কাকে বলে ও ইসম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন এই লিঙ্ক থেকে। আজকের লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার ও কমেন্ট করুন। আপনার যে কোন পরামর্শ, প্রশ্ন করতে পারেন অথবা আপনি কি জানতে চান। সেটি জানিয়ে দিন এখনি। আজ এপর্যন্তই। আবার হাজির হব অন্য কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। বিবিধ ব্লগ এর সাথেই থাকুন।
it’s very helpful ❤️
Thanks… Stay connected with Bibidhblog.com… Share with your friends..